ঢাকা,মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়ায় কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপির বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ, সরকারি ওষুধ বাইরে বিক্রি!

নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া ::
চকরিয়া উপজেলার বিএমচর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডস্থ পাহাড়িয়াপাড়া কমিউনিটি ক্লিনিকের দায়িত্বপ্রাপ্ত সিএইচসিপির বিরুদ্ধে সেবাখাতে নানা অনিয়ম দুর্ণীতির অভিযোগ উঠেছে। এমনকি ক্লিনিকের জন্য সরকারি বরাদ্দের ওষুধ রোগীর মাঝে বিতরণ না করে বাইরে বিক্রি করার অভিযোগ তুলে ইতোমধ্যে ক্লিনিক কমিটির সভাপতি ইউনিয়ন পরিষদের স্থানীয় ৮ নং ওয়ার্ডের মেম্বার এনামুল হক সহ এলাকাবাসীর অনেকে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন।

চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) দপ্তরে জমা দেওয়া লিখিত অভিযোগে দাবি করা হয়েছে, উপজেলার বিএমচর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডস্থ পাহাড়িয়াপাড়া কমিউনিটি ক্লিনিকে দায়িত্বপ্রাপ্ত সিএইচসিপি নুসরাত জাহান কলি দীর্ঘ ধরে সেবাখাতে নানা ধরনের অনিয়ম দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছেন। লিখিত অভিযোগে ক্লিনিক কমিটির সভাপতি মেম্বার এনামুল হক দাবি করেন, পাহাড়িয়াপাড়া কমিউনিটি ক্লিনিকের জন্য সরকারি ভাবে বরাদ্দ দেওয়া ওষুধ সিএইচসিপি নুসরাত কৌশলে রোগীর মাঝে বিতরণ না করে বাইরে বিক্রি করে দিচ্ছেন। এছাড়াও তিনি গরীব মহিলা রোগীর মাঝে জন্ম নিয়ন্ত্রণ ডিবো ইনজেকশন পুশ করার সময় ৫০-৬০ টাকা করে আদায় করেন।
লিখিত অভিযোগে দাবি করা হয়েছে, কমিউনিটি ক্লিনিক পরিচালনা কমিটির মাসিক মিটিং পরবর্তী সম্মানীভাতা দেওয়ার নিয়ম থাকলেও তিনি কোন সদস্যকে ভাতার টাকা দেয়না। রোগীর মাঝে সেবা দিয়ে বিনামূল্যে ওষুধ দেয়ার নিয়ম থাকলেও তিনি এসব ওষুধ নিজস্ব মহিলাদ্বারা কৌশলে বাইরে বিক্রি করে দেন। এই অবস্থায় স্থানীয় গরীব হতদরিদ্র পরিবারের জনসাধারণ সরকারি এই ক্লিনিক থেকে কাঙ্ক্ষিত চিকিৎসা সেবা ও বিনামূল্যে সরকারি ওষুধ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

বিএমচর ইউনিয়নের পাহাড়িয়াপাড়া কমিউনিটি ক্লিনিক পরিচালনা কমিটির সভাপতি মেম্বার এনামুল হক বলেন, ২০২২ সালের ২১ সেপ্টেম্বর সিএইচসিপি নুসরাত জাহান কলির এসব অনিয়মের ঘটনায় চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) দপ্তরে বিএমচর ইউনিয়নের ৭৮৯ নং ওয়ার্ডের সর্বস্থরের জনসাধারণের পক্ষে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়। ওইসময় অভিযোগটি তদন্তপুর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) চকরিয়া উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেন। কিন্তু দীর্ঘ সময় বিষয়টির আলোকে কোনধরনের ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্লিনিকের অভিযুক্ত সিএইচসিপি স্বপদে বহাল তবিয়তে থেকে আগের মতো অনিয়ম অসঙ্গতি চালিয়ে যাচ্ছেন। এই অবস্থায় আমরা এলাকার গরীব মানুষের অধিকার সরকারি স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে কক্সবাজার জেলা সিভিল সার্জনের জরুরি হস্তক্ষেপ করতে করছি।

পাঠকের মতামত: